14rh-year-thenewse
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মধুখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান,আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

Link Copied!

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কামারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভবন এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, সব সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ভবনটি দূর থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই, কিন্তু ভিতরে গেলে চোখে পড়ে ছাদে ও দেয়ালের পলেস্তার খসে পড়ার চিত্র। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জেনেও সেখানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

এ কারণে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরাও। ১৯৪২ সালে এই উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই বিদ্যালয়ে প্রায় ৮০০ ছাত্র- ছাত্রী আছে। ১৯৬০ সালে কক্ষের দ্বিতল ভবনটি নির্মাণের পর থেকে এখানেই স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ বশীর উদ্দীনের মাধ্যমে জানা যায় ও দেখা গেছে, ১৯৬০ সালে নির্মিত এ বিদ্যালয় ভবনে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্কুল ভবনে বড় বড় শেল পড়ায় ত্রুটি দেখা দেয়ার পর ধীরে ধীরে শ্রেনী কক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তাড়া খসে পড়ছে। বৃষ্টির সময়ে ছাদ ছুঁয়ে পানি পড়ছে মেঝেতে। অনেক কক্ষেও
তেমন ভালো দরজা-জানালা নেই। ফলে সব সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবস্থা দিনদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। পাঠদান চালু রাখার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঁচটি শ্রেণির ছাত্রীদের ক্লাস। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৬০ সালে স্কুলের পূর্ব ও পশ্চিম অংশজুড়ে দুইতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।

এই ভবনে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়। এরমধ্যে নীচতলার একটি কক্ষে প্রধান শিক্ষক বসেন, দুইটি সহকারী শিক্ষকদের বসার কক্ষ, একটি
অফিস কক্ষ, একটিতে লাইব্রেরি, একটি নামায ঘর সহ শ্রেণী কক্ষ রয়েছে। ভবনটির ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলোতে এখনও শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরসিসি পিলার ও গ্রেট বিমগুলোতে বিস্তৃত ফাটল দেখা দেওয়ায় ভবনটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ভয়ে ভয়ে ক্লাস করে থাকে।

ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে আসতে দিতে চান না। সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতেমা আহম্মেদ টিনা জানায়, ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের পলেস্তাড়া খসে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ

ভবনটিতে তারা ভয়ে ভয়ে ক্লাস করে। ফলে যেকোনো সময় বড় কোনো  দুঘর্টনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের এ দুরাবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রাও।

http://www.anandalokfoundation.com/