14rh-year-thenewse
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহকারীর বদলী আদেশ হলেও ছাড়পত্র দিচ্ছে না শিক্ষা কর্মকর্তা

Link Copied!

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মোঃ আবু হানিফ ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল মাসে সিলেট জেলা বালাগঞ্জ থেকে কালকিনিতে যোগদান করেন।একই অফিসে প্রায় ১২ বছর চাকুরী করেন। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এর মধ্যে কয়েকবার বদলীর আদেশ আসে। ক্ষমতার দাপটে অন্যত্র যেতে হয়নি তাকে। কালকিনি উপজেলার শিক্ষক মহলে তিনি একজন অর্থ লোভী অফিস সহকারী ।
মাতৃত্বকালীন ছুটি নেয়া শিক্ষিকাদেরও ঘুষ দিতে হয় অফিস সহকারী হানিফকে। অনিয়ম-দূর্নীতির শিক্ষা দেয় অফিস সহকারী হানিফ অভিযোগ সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং পুনরায় আবু হানিফের বদলীর আদেশ  আসে শিক্ষা অফিসে। বরাবরের মত এবারও কিছু শিক্ষক নেতারা অফিস সহকারী হানিফের বদলী ঠেকাতে বিভিন্ন নেতাদের দাড়স্থ হচ্ছেন। সহকারী শিক্ষকদের অফিযোগ কিছু শিক্ষক নেতাদের নিয়েই যত ঘুষ বাণিজ্য করেন অফিস সহাকারী আবু হানিফ।
গত সোমবার (৫মার্চ) কালকিনি উপজেলা শিক্ষা কমিটির মিটিং হয়। মিটিংএ অফিস সহকারী আবু হানিফের একাধিবার বদলীর আদেশ আসলেও তার বদলী বন্ধ হয়ে য়ায়। তাই শিক্ষা মিটিংএ অফিস সহকারী আবু হানিফকে বদলীর ছাড়পত্র দিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক,উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা  ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামানকে অুনরোধ করেন।
কালকিনি উজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে মোঃ আবু হানিফ ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থেকে কালকিনি যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। তার বিরুদ্ধে বদলী বাণিজ্য, মাতৃত্বকারীন ছুটি, অচ্ছিক ছুটি নিতে ও যোগদান করতে, জিপিএফ ফান্ড থেকে লোন উত্তল করতে, সার্ভিস বুকে কোন প্রকার ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা, পেনশন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে অফিস সহকারী আবু হানিফের বিরুদ্ধে। আবু হানিফ যোগদানের পর থেকেই শিক্ষক নেতা পরিচয়ে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক সহযোগীতা করে আসছে। যখনই অফিস সহাকরী আবু হানিফের বদলী আদেশ আসার পর থেকে ঐ প্রধান শিক্ষক কয়েকজন বিভিন্ন নেতাাদের কাছে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে বদলী বন্ধো করান। আর তা করেন তাদের ঘুষ বাণিজ্য করার জন্য। প্রায় ১ যুগ পার হলেও এবারও তার বদলী ফিরাতে মরিয়া হয়ে ঊঠেন ঐ শিক্ষক নেতা পরিচয়ের প্রধান শিক্ষকগন । তারা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামানকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে অফিস সহকারীর বদলীর ছাড়পত্র দিতে নিষেধ করেন। ভয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বদলীর ছাড়পত্র দিচ্ছেনা।
সবুজ,মেহেদী, পলাশ ও কাওসারসহ আারও কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দূর্নীতিবাজ  অফিস সহকারী আবু হানিফের বদলী হওয়া খুবই জারুরী। তার সাথে আছে শিক্ষক নেতা পরিচয়ে কয়েকজন প্রধান শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছে হানিফকে রিলিজ করতে। তার বদলীর আদেশে লেখা নাই কখন কি ভাবে রিলিজ করতে হবে। বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলতেছে। আসলে কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা দিবে সেই মত কাজ করতে হবে আমার। হয়তোবা আগামী সপ্তাহে রিলিজ হতেও পারে।
কালকিনি উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা মিটিংএ অফিস সহাকারী আবু হানিফকে বদলীর ছাড়পত্র দিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক,উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা  ও আমি (উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামানকে অুনরোধ করি।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, আমরা গত ৫ তারিখ শিক্ষা কমিটির মিটিং আহবান করি। এবং শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মিটিংএর পর দিনই অফিস সহকারী হানিফকে অবমুক্ত করার কথা। আর তাকে যদি অবমুক্ত না করে তবে শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে পরবর্তি ব্যবস্থা নেব।
কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, হানিফতো ১২-১৩ বছর ধরে কালকিনিতে আছে। হানিফতো অফিসে বসে শিক্ষকদের সাথে অযথা ঝামেলা করে। আমরা শিক্ষা কমিটির মিটিংএ অফিস সহকারী হানিফকে রিলিজ করার সিদ্ধান্ত হয়। এবং আমরা শিক্ষা কর্মকর্তাকে রিলিজ করেতে বলেছি। কেন হাসিফকে রিলিজ করেনি। আর কি কারণে রিলিজ করেনি সেটাই আমরা খুজে বের করবো এর সাথে কারা কারা জড়িত। না শিক্ষা কর্মকর্তা নিজেই ইচ্ছে করে হানিফকে রিলিজ করেনি।
http://www.anandalokfoundation.com/