ভারত পাকিস্তান চারদিন স্থায়ী যুদ্ধ হলো। এরপর দুই দেশ যুদ্ধ বিরতিতে গেল। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মিডিয়া এই যুদ্ধে পাকিস্তানকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। আর ভারতকে পরাজিত পক্ষ হিসেবে দেখিয়েছে। বিপরীতে ভারতের মিডিয়া তাদের হামলাকে বড় করে দেখিয়েছে। যুদ্ধে নিজেদের বিজয় হয়েছে বলে জানিয়েছে। আসল সত্যটা কি? আসল সত্য পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলো নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট ছাপিয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক সমর বিশ্লেষকরা এই যুদ্ধের ওপর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের এসব আর্টিকেল পড়ার মতো যোগ্যতা নেই। যে কারণে সত্য ঘটনা লেখার মতো সৎ সাহস তাদের নেই। এর পিছনে ধর্মীয় কারণ থাকলেও থাকতে পারে। সে যাই হোক। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায় ভারত যেসব হামলা পাকিস্তানে চালিয়েছে তার প্রতিটির তথ্য প্রমাণ স্যাটালাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। পরে এইসব চিত্র প্রতিটি মিডিয়া নিজস্ব সূত্র মারফত পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে ভারতের দাবিকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে। বিপরীতে পাকিস্তান বিশ্ববাসীকে তাদের হামলার কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছিল। পরে এ নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফকে প্রশ্ন করেন মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এর সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসন। খাজা আসিফ বলেন, তিনি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেয়েছেন এবং সেটা ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বেকি অ্যান্ডারসন বলেন, আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কি লেখা হয়েছে সেজন্য প্রশ্ন করা হয়নি।
পাকিস্তান এর আগে দাবি করেছিল তারা ভারতীয় এক নারী পাইলটকে গ্রেফতার করেছে। সেটাও ছিল একটা ভুয়া খবর। এর আগে পাকিস্তানের হাতে বন্দি হয়েছিল ভারতের অভিনন্দন বর্তমান। তাকে পাকিস্তান মিডিয়াতে দেখিয়েছিল। এবার তেমন কিছু দেখাতে তারা ব্যর্থ হয়। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম ভারতের রাফাল বিধ্বস্তের ছবি দেখানো হয়। পরে জানা গেল এই ছবি তারা পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীরের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়েছিল। আর হামিদ মির এই ছবি আরেক সোর্স থেকে নেন। যা ভুয়া। আবার কোনো কোনো মিডিয়া রাফাল বিধ্বস্তের পুরানো ছবি ছেপে দিয়ে পাকিস্তানের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের কোনো বিমান অভিযানে ধ্বংস হয়নি। এমনকি তাদের কোনো পাইলট পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়েনি। প্রত্যেকে অভিযান শেষে ব্যারাকে ফিরে এসেছে। বাস্তবে পাকিস্তান ভারতের যেসব বিমান ধ্বংস করেছে সেগুলো ছিল ডামি ড্রোন। যা দেখতে রাফালের মতো। পাকিস্তানের বিমান বিধ্বংসী রাডারের অবস্থান জানার জন্য সেগুলো পাকিস্তানের আকাশ সীমানায় পাঠানো হয়। পরে ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো পাকিস্তানের সেইসব রাডার বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।
এবার পাকিস্তানে ভারত যে হামলা চালিয়েছে সেগুলো ছিল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত। পাকিস্তানের নয়টি অবস্থানে ভারত এক যোগে হামলা চালায়। এতে ধ্বংস হয়ে যায় হিজবুল মুজাহিদিনের হেড কোয়াটার, লস্করে তৈয়বার হেড কোয়াটার, জইশই মহম্মদের হেড কোয়াটার। হামলায় মারা যায় জঙ্গি মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪ সদস্য। যা বিশ্বের সকল মিডিয়াতে এমনকি পাকিস্তানের মিডিয়াতেও প্রকাশ হয়। হামলার পরের দিনই এসব ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ছাপানো হয়।
পরে পাকিস্তান যেসব হামলা চালায় তার প্রতিটিকে ঠেকিয়ে দেয় ভারত। এতে ভারতের এস-৪০০ হানড্রেড ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করে। ভারত পাকিস্তানে ব্রামোস মিসাইল দিয়ে হামলা চালাতে থাকে। এতে পাকিস্তানের বিভিন্ন বিমানঘাটি ধ্বংস হতে থাকে। এক পর্যায়ে পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার মজুদস্থলে ভারত হামলা চালালে যুদ্ধের রূপ বদলে যেতে থাকে। তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে যায়।
তবে যুদ্ধ কিভাবে বন্ধ হয়েছে এ নিয়ে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি দাবি আছে। ভারত বলছে পাকিস্তানের পীড়াপীড়িতে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে ভারতের অনুরোধে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। তবে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়ানোর ক্ষমতা নেই। পাকিস্তান এই যুদ্ধে ভারতের ওপর চীনের তৈরি সব অস্ত্র প্রয়োগ করেছে। এমনকি ইরান থেকে আনা সুপারসনিক মিসাইলও ভারতের ওপর ছোড়া হয়েছে। তবে সবই বিফল হয়েছে। ভারতে কোনোটাই ঢুকতে পারেনি। এতে অস্ত্রের বাজারে চীনের মার্কেটে ধস শুরু হয়েছে। চীন এখন অর্ধেক দামে পাকিস্তানকে অস্ত্র ও যুদ্ধ বিমান দিতে চাইছে।
ভারতে ইসরাইলের তৈরি হেরন ড্রোন গুলো আটকানোর মতো ক্ষমতা পাকিস্তানের ছিল না। এসব ড্রোনের একটি শাহবাজ শরীফের বাড়ির সামনে পড়ে। এই হামলার পর পাকিস্তানের সেনা সদর রাওয়াল পিণ্ডি থেকে সরিয়ে ইসলামাবাদে আনা হয়েছে।
এদিকে ভারত এই যুদ্ধে নিজেদের অস্ত্র সফল হয়। বিশেষ করে ব্রমোস ক্রুজ মিসাইল ও আকাশ মিসাইল সিস্টেম। পাকিস্তান ব্রামোস ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। এছাড়া রাফাল যুদ্ধ বিমানে ভারত নিজেদের অস্ত্র সংযোগ করার জন্য এর সোর্স কোড চাইছে। ফ্রান্স দিতে চাইছে না। তবে এ নিয়ে কথা চলছে।
পাকিস্তানে না ঢুকে ভারত যেভাবে পুরো পাকিস্তান কাপিয়ে দিল। তাতে আগামীতে পাকিস্তান ভারতে কোনো জঙ্গি হামলা চালাবে কিনা সন্দেহ। চালালে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে সেটা নি:সন্দেহে বলা যায়। তবে ভারতের সবচেয়ে বড় বোমা হচ্ছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত। এটাই পাকিস্তানকে আগামীতে ভোগাবে। পাকিস্তান কীভাবে এসব বিষয় সামাল দিবে তা আগামীতে জানা যাবে।
ভারত পাকিস্তানকে বলে দিয়েছে আগামীতে যদি দুই দেশের কথা হয় তবে তা সন্ত্রাসবাদ ও পিওকে নিয়ে কথা হবে। এর বাইরে কোনো কিছু নিয়ে কথা হবে না।