হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হওয়ার প্রলোভনে রাজি না হওয়ায় জোর পুর্বক লিংঙ্গ কর্তন করে সুন্নাতে খতনা বা মুসলমানি করানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
৭ নভেম্বর সকালে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন পরিষদে ভিকটিম অভিজিৎ দাস এর স্বজনরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেত্রীবৃন্দ ও স্থানীয় লোকজন এঘটনার তিব্র প্রতিবাদ জানায়।
এসময়ে হারতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায় ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
তারা জানান সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
জানা যায়, বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়ন কুচিয়ার পাড় গুচ্ছ গ্রাম নিবাসী নির্মল দাস এর ছেলে অভিজিৎ দাস (২০)’কে কাজ দেওয়ার কথা বলে ঢাকা নিয়ে একই গ্রামের কালাম হাওলাদার (৪০), পিতাঃ মালেক হাওলাদার, ধর্ম ত্যাগ করে ধর্মান্তর করে মুসলমান হওয়ার প্রলোভন দেখায়, তাতে রাজি না হলে জোর পুর্বক লিংঙ্গ কর্তন করে সুন্নতে খতনা বা মুসলমানি করানো হয়।
ভিকটিম অভিজিৎ দাস’ বলেন ” আমাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে গত ২রা অক্টোর তারিখ ঢাকা জিনজিরা নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবত ধর্ম ত্যাগ/ ধর্মমান্তর করার কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায় কালাম হাওলাদার, আমি রাজি না হওয়ায় গত অক্টোবর ১৬ তারিখ জোর পুর্বক চার – পাঁচজন আমাকে ধরে বেঁধে লিংঙ্গ কর্তন করে, এবং পরে ওষুধ পত্র এনে দেন। সুযোগ পেয়ে গত ২২ শে অক্টোবর বাড়ি চলে আসি, কিন্তু বাড়িতে এসে লজ্জায় কাউকে প্রকাশ করতে পারিনি, গতকাল ৬ নভেম্বর আমার কাকীমা সুপারি পাড়তে গাছে উঠতে বললে আমি পারবোনা বলি, তখন গাছে উঠতে জোড়া জুড়ি করতে থাকলে এসব ঘটনা বলি”।
এব্যপারে ভিকটিম অভিজিৎ দাস বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে অভিযুক্ত কালাম হাওলাদার ও তার ছেলে বাজার ব্যবসায়ী কামরুল হাওলাদার (২০) এমন উত্তেজনা মূলক অবস্থা টের পেয়ে পিতা পূত্র দুজনেই পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।