14rh-year-thenewse
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন বাণিজ্যে সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয়

admin
March 31, 2016 4:49 pm
Link Copied!

আবুল হোসেন :বাংলাদেশে ভারতীয় মাল্টিপল ট্যুরিস্ট ভিসার ই-টোকেন বাণিজ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করে বাংলাদেশে রমরমা ব্যবসা করছে সিন্ডিকেট চক্র।

প্রতিটি ই-টোকেন এ্যাপয়েনমেন্টের জন্য ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সিন্ডিকেট চক্রের সাথে বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলেও জানা গেছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় প্রতিটি দূতাবাস ই-টোকেন কাউন্টারে এ্যাপয়েনমেন্টের দিন পাসপোর্ট ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে গেলে কোনো কিছুর কমতি থাকলে তাদের বের করে দেয়া হয়। কাউন্টার থেকে বের করে দিলে তাকে আর দ্বিতীয়বার ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয় না।

চতুর্থ শ্রেণীর অনেক কর্মচারী (প্রহরীরা) খারাপ আচার-আচরণ করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একটি সফট্ওয়্যার ক্রয় করলে এই ব্যবসা চালানো যায় অনায়াসেই।

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার জন্য একটা সমিতি করেছেন সিন্ডিকেট চক্র। সমিতির মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয় তাদের কাছে। সিন্ডিকেট চক্রের আইপি নম্বর ও এ্যাড্রেস তাদের তালিকাভুক্ত করা আছে। সেই অনুযায়ী এ্যাপয়েনন্টমেন্ট পেয়ে যায় এই সিন্ডিকেট চক্র।

তালিকাভুক্ত আইপি নম্বর ও এ্যাড্রেস ছাড়া এ্যাপয়েনমেন্ট দিচ্ছে না বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। নিজের ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্যবহার করে শুধুমাত্র অনলাইন রেজিস্ট্রেশনটা করতে পারছে বাংলাদেশের মানুষ। সাপ্তাহের পর সাপ্তাহ, মাসের পর মাস চেষ্টা করেও এ্যাপয়েনন্টমেন্ট পাচ্ছে না তারা। বাধ্য হয়েই সিন্ডিকেট চক্রের দ্বারস্থ হতে হয় ভুক্তভোগী মানুষের।
এ্যাপয়েনমেন্ট দিচ্ছেন কে, দিল্লি? না বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাস? দিল্লি থেকে এ্যাপয়েনমেন্ট দিলে সিন্ডিকেট তৈরি করার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করছেন না ভুক্তভোগী মানুষরা। কারণ দিল্লি বহুদূর। নিশ্চয়ই বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাস অফিসে এ্যাপয়েনমেন্টের কলকাঠি নাড়ছেন সিন্ডিকেট চক্রের সাথে জড়িত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা!

তারা কমিশন পায় রীতিমতো। মুঠোফোন বা ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র আগ থেকেই খবর পেয়ে যায় এ্যাপয়েনমেন্টের। তারা জানিয়ে দেয় কতটুকু সময় পাওয়া যাবে এ্যাপয়েনমেন্টের জন্য। কখন সে সময় বরাদ্দ করা হবে।

সেই অনুযায়ী সিন্ডিকেট চক্র কাজ করছে ই-টোকেন এ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়ার জন্য।
তিন মাসের ভ্রমণ ভিসা পদ্ধতি : তিন মাসের ভ্রমণ ভিসার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ তার নিজের ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-টোকেন রেজিস্ট্রেশন করতে পারতো নিমিষেই।

বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলে বসে তা করা সম্ভব ছিলো। কোনো সমস্যাই ছিলো না তাদের।  পাওয়া যেতো ৪-৫টা এ্যাপয়েনমেন্ট তারিখ। নিজের পছন্দমতো যেকোনো একটি তারিখ বেছে নিতে পারতো তারা। সমস্যা ছিলো একটাই

এই ভ্রমণ ভিসায় একবারের বেশি দুইবার ভারতে যাওয়া যেতো না। সাধারণ মানুষ বর্তমানে যে হয়রানির শিকার হচ্ছে এর আগে কখনো এ ধরনের হয়রানির শিকার হয়নি বা আর্থিকভাবে এত ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। প্রতিটি ই-টোকেন এ্যাপয়েনমেন্টের জন্য তাদের ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা খরচ হতো।
ছয় মাসের ভ্রমণ ভিসা পদ্ধতি : ছয় মাসের মধ্যে যত খুশি ততবারই ভারতে যাওয়া যায়। এই যাওয়া যেন মানুষের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ই-টোকেন এ্যাপয়েনমেন্টের জন্য ৩০০০ টাকা থেকে ৪০০০ হাজার টাকা গুনতে হয় প্রতিটি মানুষের। এত টাকা কি জন্য লাগে?

এর সদুত্তর কারো কাছ থেকেই পাওয়া যায়নি।ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভ্রমণ ভিসা : ভারত থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণ ভিসায় ভ্রমণ করতে চাইলে ভারতীয় নাগরিকরা সকালে গিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয় এবং বিকালেই তারা ভ্রমণ ভিসার অনুমতি পেয়ে যায়।

কিন্তু বাংলাদেশে এত জটিলতা কেন? এত টাকার ছড়াছড়ি কেন? ভারতীয় ভিসার জন্য মানুষ এত হয়রানির শিকারই-বা কেন হবেন? এর কি কোনো সুরাহা নেই!
দূতাবাসের সিন্ডিকেট ভাঙ্গো, নাহয় পোর্ট ভিসা চালু করো : বাংলাদেশের ভুক্তভোগী মানুষের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, দূতাবাসের সিন্ডিকেট ভাঙ্গো, নাহয় অনতিবিলম্বে পোর্ট ভিসা চালু করো।

http://www.anandalokfoundation.com/