বিশ্ব পরিবেশ দিবস হল সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক দিবস, যা পরিবেশের জন্য জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নেতৃত্বে। দিবসটি ১৯৭৪ সাল থেকে পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ (এএবি) জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য শিশু এবং সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছে।
এই ধারাবাহিকতায়, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ (এএবি) এবং অংশীদার সংস্থাগুলি ০৫ জুন শিশু এবং সম্প্রদায়ের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২২ পালন করেছে।

ফলস্বরূপ, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ (এএবি) ১৯ জুলাই ২০২২ এবং ২০ জুলাই ২০২২ তারিখে এলআরপিদের মধ্যে অনলাইন বিতর্ক এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। থানচি (এলআরপি-৩৪), বিশ্বম্ভরপুর (এলআরপি-৪৩), ঘোড়াঘাট (এলআরপি-) থেকে মোট ২৭ জন শিশু। ৪৫), বাকালিয়া (এল আর পি-৪৮), মিরপুর (এল আর পি-৪৯), লালুয়া-চম্পাপুর (এল আর পি-৫০), চানপাড়া (এল আর পি-৫১) এবং কুড়িগ্রাম (এল আর পি-৫২) এই প্রতিযোগিতায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
বিতর্ক প্রতিযোগিতা দুটি রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় যাতে ৪টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রথম রাউন্ডটি ১৯ জুলাই ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিষয় ছিল “বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য ধনী ব্যক্তিরা বেশি দায়ী”৷
ঘোড়াঘাট (এল আর পি-৪৫), চানপাড়া (এল আর পি-৫১), লালুয়া-চম্পাপুর (এল আর পি-৫০), কুড়িগ্রাম (এল আর পব-৫২) থেকে ১২ জন শিশু এই রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিচারক ছিলেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের (এএবি) চাইল্ড স্পন্সরশিপ ইউনিটের সানজিদা আফরিন ও আসফাক সিরাজ বাঁধন। ঘোড়াঘাট (এল আর পি-৪৫) এবং কুড়িগ্রামের (এল আর পি-৫২) শিশুরা এই রাউন্ডে জয়লাভ করে এবং চূড়ান্ত রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়।

“পৃথিবী একটাই এবং এটি আপনার, আমার এবং সকলের। আমাদের প্রিয় পৃথিবী আমাদের হয়েই থাকবে”। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষায় পরিবেশ সুরক্ষায় শুধু সরকার ও শিল্প মালিকদের সচেতন ভূমিকাই নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে। ” কথাগুলো বলেছেন কুড়িগ্রামে শিশু প্রতিযোগী সৌরভি (এল আর পি-৫২)।
পরের দিন, “সরকার এবং শিল্প মালিকদের সচেতনতা ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে পরিবেশগত নিরাপত্তায় একটি পার্থক্য করতে পারে” শীর্ষক বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়। ঘোড়াঘাট (এল আর পি-৪৫) এবং কুড়িগ্রামের (এল আর পি-৫২) শিশুরা এই চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিচারক ছিলেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের (এএবি) রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট জাস্টিস ইউনিটের মারিয়া আক্তার, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের (এএবি) নারী অধিকার ও জেন্ডার ইক্যুইটি ইউনিটের ফারিয়া রশিদ, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের (এএবি) ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স ইউনিটের মোস্তাহিদ জামি। বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে কুড়িগ্রামের শিশুরা (এল আর পি-৫২) বিজয়ী হয়।