14rh-year-thenewse
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মায়ের গর্ভের বাচ্চা চুরি করল জ্বিন

admin
April 26, 2016 9:19 pm
Link Copied!

এস.এম মফিদুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ এই নশ্বর পৃথিবীতে কত ঘটনাই না ঘটে। কোন ঘটনা বাস্তব আবার কোন কোন ঘটনা অবাস্তব মনে হলেও তা সত্য। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউনিয়নের মঙ্গলানন্দকাটী গ্রামে মোঃ রফিক শেখের বাড়িতে।

জানা যায়, মোঃ রফিক শেখের চার পুত্রের মধ্যে ২য় পুত্রবধু জেসমিন বেগমের গর্ভের বাচ্চা জিন/পৈরী কর্তৃক চুরি হয়ে গেছে গত ২৫ এপ্্িরল তারিখ ভোর রাত্রের বেলায়।

শত শত লোকের গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরেজমিনে মোঃ রফিক শেখের বাড়িতে স্বাক্ষাতকারে এ প্রতিনিধিকে জানানো হয়, গত ২০১৩ সালে আরিজুল শেখ ও জেসমিন বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের প্রথম বছরে জেসমিন বেগমের পেটে বাচ্চা যায়, কিন্তু তিন/চার মাসের মধ্যেই জেসমিন বেগম পুকুরে গোসল করার সময় তা গর্ভপাত হয়ে যায় এক অলৌখিক ঘটনার মাধ্যমে। ২য় বছরে পুনরায় জেসমিন বেগম গর্ভবতী হয়। গর্ভবতী থাকাকালিন দীর্ঘ ৯ মাস অপেক্ষার পরে বাচ্চা হওয়ার জন্য তার বাবা-মা তাকে নিয়ে যায় তার বাবার বাড়িতে। বাবার বাড়ি ১ মাস থাকার পর গর্ভপাতের ঠিক ৫/৭ দিন আগে জেসমিন বেগম বাথরুমে গেলে তার বাচ্চা গর্ভপাত হয়ে যায়। কিন্তু অলৌখিক ভাবে বাচ্চা উধাও হয়ে যায়।

জেসমিন বেগম তা জানতেও পারে না তার বাচ্চা কোথায় কে নিয়ে গেল। যথারীরিতি চারিদিকে খোজা খুজি করেও কোন বাচ্চার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় না, কোন রক্তপাত কিংম্বা কোন বাচ্চা গর্ভপাত হয়েছে কিনা তাও বোঝা যায় না, এমনকি তার পেটও স্বাভাবিক থাকে পেটেও কোন বাচ্চার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এমন বিরল ঘটনা ঘটার পর জেসমিন বেগমের বাবা-মা তাকে এক কবিরাজকে দেখায় এবং সব ঘটনা কবিরাজকে খুলে বলে। কবিরাজ তার কেরামতি করে তাদেরকে জানান যে, তাদের বাচ্চা জিন/পৈরী কর্তৃক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে।

এদিকে জেসমিন বেগমের শশুর বাড়ির লোকজন এসমস্ত ঘটনা মানতে নারাজ হয় এবং তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতান্ড লেগে যায়। তারপরও দুই পরিবার মিলে যায় এবং জেসমিন বেগম যথারিতি শ্বশুর বাড়ি সংসার করতে থাকে। কিছু দিন পর জেসমিন বেগম তৃতীয় বারে মতো পুনরায় গর্ভবতী হয় এবং দীর্ঘ ৯ মাস গর্ভে বাচ্চা বহন করার পর ডাক্তারী পরিক্ষা করে দেখে যে, তাদের একটা মেয়ে সন্তান আসতে চলেছে। ডাক্তার পরিক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে এপ্রিল মাসের ২৯/৩০ তারিখের দিকে গর্ভপাতের তারিখ দেয়। কিন্তু যা ঘটনার নয় তাই পুনরায় ঘটে গেল, সোমবার ভোর রাত্রের বেলায় ফের জেসমিন বেগমের গর্ভের বাচ্চা তার গর্ভ থেকে উধাও হয়ে যায় এক বিরল ঘটনার মাধ্যমে। ঐ দিন সকালে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে কিন্তু জেসমিন বেগমের ঘুম থেকে দেরি করে উঠতে দেখে তার শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে ডাকতে থাকে, অনেকক্ষন ডাকা ডাকির পর জেসমিন বেগমের সামান্য জ্ঞান আসাতে তিনি কোন রকমে ঘরের দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলে দেখে সবাই অবাক হয়ে যায় যে জেসমিন বেগমের হাত ও মুখ বাধা আছে পাশে একটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, একটি বে¬ড পড়ে থাকতে দেখে কিন্তু সেখানে কোন অন্য লোককে বা তার বাচ্চার কোন অস্তিত্ব দেখতে না পেয়ে সবাই তাকে এসবের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন যে ভোর রাতের বেলায় ঘরের চাল থেকে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা এসে তার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে এবং তাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার পর জেসমিন বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়ে তার কোন জ্ঞান না থাকায় সে আর কিছু জানে বলে সবাইকে জানান।

এসব ঘটনা এক কান থেকে অন্য কান হয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং শত শত উৎসুক লোকের ভিড় জমায় তাদের বাড়িতে কি ঘটেছে তা জানা, শুনা ও দেখার জন্য, সবাই বলা বলি করছে যে বাচ্চা জিন/পৈরীতে নিয়ে গেছে। এক পর্যায়ে মোঃ রফিক শেখ এক কবিরাজকে ডেকে আনে তাদের বাড়িতে। কবিরাজ তুলার আইশি দ্বারা ভারন দেয় এবং জানায় যে, বাচ্চা আসলে-সত্যিই জিন/পৈরী নিয়ে গেছে। এমনকি তিনি আরও জানায় যে কবিরাজ এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ী করলে ঐ জিন/পৈরী না কি কবিরাজকেও বড় ধরনের ক্ষতি করবে।

http://www.anandalokfoundation.com/