দেবাশীষ মুখার্জী (কূটনৈতিক প্রতিবেদক) : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে দেশবাসীকে বারবার সতর্ক-বার্তা দিচ্ছিলেন, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভারতে করোনাভাইরাস নেই।
নরেন্দ্র মোদী অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়ে – CAA বিরোধী আন্দোলন থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন – তাতে মনে হচ্ছিল, তিনি যেন করোনাভাইরাস এর পক্ষে ওকলাতি-তে নেমেছেন।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার করনাভাইরাস সংক্রমণ-রোধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে, ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হয় এবং তার প্রতিক্রিয়ায় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত করোনাভাইরাস-বিরোধী প্রচারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে,ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নগরী সমূহকে লকডাউন করে ফেলা হয়েছে ; গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ; রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে। জনজীবনে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সরকার আজ দশ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার সাথে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যম-কে ব্যবহার করে – করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘দায়িত্বশীল আচরণ করতো – তাহলে বিশ্ববাসী এই গভীর সংকটে নিপাতিত হতো না।’
শুধুমাত্র চীনের স্বার্থপর আচরণের কারণে, বিশ্ববাসী আজ ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যে দিনানিপাত করছে। বিশ্ব অর্থনীতি মহামন্দার দিকে ধাবিত হতে যাচ্ছে ; সেই সঙ্গে বেকার হয়ে পড়তে চলছে কোটি কোটি মানুষ। একটি কুলাঙ্গার সন্তান যেরকম একটি পরিবার-কে ধ্বংস করে দেয়, ঠিক তেমনি একটি কুলাঙ্গার রাষ্ট্র চীন – আধুনিক বিশ্ব সভ্যতাকে ধ্বংস করে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে।