দেবাশীষ মুখার্জী (কূটনৈতিক প্রতিবেদক) : ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভারতের CAA -এর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। CAA হচ্ছে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন – যাতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে উচ্ছেদ হয়ে ভারতে এসে আশ্রয় গ্রহণ করা, ৬ টি ধর্মের সংখ্যালঘু মানুষদের বৈধ নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ৬ টি ধর্ম হচ্ছে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-শিখ-জৈ
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নিন্দা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, CAA – ভারত সরকারের হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত। এই আইন, বিশ্বে রাষ্ট্রহীনতার পক্ষে সবচেয়ে বড় সংকট এবং মানুষের দুর্দশার অন্যতম কারণ। এই আইনের ফলে মুসলমানদের সাথে অন্য ধর্মগুলোর বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। সুপারিশ করা হয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমান, পাকিস্তানের হাজারা (শিয়া) ও আহমেদিয়া মুসলমান এবং বাংলাদেশের বিহারি মুসলমানদের ভারতে এনে নাগরিকত্ব দিতে।
অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য হচ্ছে, এই আইন শুধু হিন্দু রিফিউজিদের সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয় নি,পাশাপাশি বৌদ্ধ, শিখ,খ্রিষ্টান, জৈন ও পার্সি রিফিউজিদেরও অধিকার দেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের সাথে কোন বৈষম্য করা হয় নি, কারণ ভারতের আশপাশের প্রতিটি মুসলমান অধ্যুসিত দেশ, সাংবিধানিকভাবে ইসলামী রাষ্ট্র এবং ঐ সব ইসলামী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের পক্ষে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়ায়, তারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশের ইসলামী শাসনব্যবস্থায় অনাবিল শান্তির ভূস্বর্গ ছেড়ে, মুসলমানরা কেন ভারতের মতো দরিদ্র অশান্ত দেশে বসবাস করতে আসবে ― যেখানে তাদের স্বজাতিরা কথায় কথায় সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে – জনবিষ্ফোরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ভারত রাষ্ট্রটিকে ছিড়ে ছিড়ে পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে চলেছে।
CAA কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য করা হয় নি ; কমপক্ষে পাঁচ কোটি রাষ্ট্রহীন মানুষকে ভারতের বৈধ নাগরিকত্ব প্রদান করে,তাদের মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়েছে। ভারতের খণ্ডিত অংশে বসবাসকারী হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-জৈনদের ভারতের উপর পূর্ণ অধিকার বিদ্যমান।
রোহিঙ্গা-হাজারা-আহমেদিয়া-বিহা রিদের ভারত কিভাবে খাওয়াবে! ভারতের তো টাকাপয়সা নেই ; ভারতের টাকাপয়সা সব ইউরোপীয় বৃটিশরা লুটে নিয়ে গেছে। ইউরোপের জন্মহার কম ; তাই ইউরোপের উচিত বিমান পাঠিয়ে রোহিঙ্গা-বিহারি-আহমেদিয়া-হাজা রা মুসলমানদের নিয়ে দেওয়া, কারণ ওদের আছে আ্যাটম বোমার চেয়েও খতরনাক প্রজনন বোমা – ওরা ডজন ডজন বাচ্চা জন্ম দিয়ে সমগ্র ইউরোপ কল-কাকলিতে ভরিয়ে দেবে। ভারতবর্ষ ও আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যে সম্পদ লুন্ঠন করেছে,সেই সম্পদ আগে ইউরোপ ফেরত দিক, তারপর যেন বড় বড় কথা বলতে আসে।
সৌদি আরব, কাতার,কুয়েত,বাহারাইন,ওমান প্রভৃতি ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলমানরা যদি ধর্ম পালন করে, সাথে সাথে তাদের শিরচ্ছেদ করা হয়। কই, ইউরোপ তো ঐ ব্যাপারে কোন আওয়াজ করে না! তাহলে হঠাৎ করে তাদের এই CAA বিদ্বেষী ফাজলামি কেন ?