14rh-year-thenewse
ঢাকা

পরীক্ষায় বসা হলোনা নাঈমের

Link Copied!

ছাত্রদল ও যুবদলের স্থানীয় দুই নেতার দ্বন্ধের জেরে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি নাঈম হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কাসেমাবাদ গ্রামের।

ওই গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি গৌরনদী কলেজের বাণিজ্য বিভাগ থেকে চলতি (২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া) এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী নাঈম হোসেন জানান, কাসেমাবাদ গ্রামের যুবদল কর্মী হিরা সরদারের সাথে দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের বাসিন্দা ও গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক কাসেমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের বিরোধ চলে আসছে।

নাঈম অভিযোগ করে বলে, ওই বিরোধের জেরধরে গত ২৪ জুন বেলা এগারোটার দিকে কাসেমাবাদ এলাকা থেকে আমাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যায় যুবদল কর্মী হিরা সরদার ও তার সহযোগিরা। পরবর্তীতে হিরা ও তার লোকজনে আমাকে একটি বাগানের মধ্যেনিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। ওইদিন রাতে মাহিলাড়া ইউনিয়নের জঙ্গলপট্টি গ্রামের মাদ্রাসা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে চোখ বেঁধে আটক করে দ্বিতীয় দফায় আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।

একপর্যায়ে গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক কাসেমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম মাদক বিক্রেতা, তার (রহিম) কাছ থেকে আমি মাদক ক্রয় করি এসব কথা শিখিয়ে আমার (নাঈম) হাতে কোরান শরীফ দিয়ে ভিডিও সাক্ষাতকার আদায় করে নেয় হিরা ও তার সহযোগিরা। এমনকি আমার (নাঈম) হাতে জোরপূর্বক গাঁজা তুলে দিয়ে তা আমি ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ক্রয় করেছি বলেও ভিডিও করে রাখা হয়।

নাঈম হোসেন আরও অভিযোগ করেন, আমি বাড়িতে ফিরে বিষয়টি পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়দের অবহিত করার পর হিরা ও তার লোকজনে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে চরম আতঙ্কিত হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় আমি অশংগ্রহণ করতে পারিনি। বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নাঈম।

গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুর রহিম বলেন, এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা যুবদল কর্মী হিরা সরদারের মাদক বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করায় আমাকে ফাঁসাতে দীর্ঘদিন থেকে সে (হিরা) একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে। ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম আরও বলেন, আমাকে জড়িয়ে নাঈম হোসেনকে দিয়ে বানানো একটি ভিডিও ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফ্যাক আইডি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে আমার সম্মানহানী করা হচ্ছে।

তবে মাদক বিক্রি, নাঈম হোসেনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও পরবর্তীতে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর যুবদল কর্মী হিরা সরদার বলেন, আমাকে ফাঁসাতে নিজ দলের কতিপয় সদস্যরা নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। নাঈমের বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

http://www.anandalokfoundation.com/