ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশ্বরে বাস দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। ওই বাসে বাংলাদেশের ৭০ জনের বেশি পর্যটকের মধ্যে নুনিবালা নাথ নামে একজন নিহতসহ গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ক্যাপিটাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে ভুবনেশ্বরের উত্তরচকে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
বাসটির বেশিরভাগ যাত্রীই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশা টিভি। দুর্ঘটনার শিকার হওয়া বাংলাদেশিরা পশ্চিমবঙ্গের ইসকন মায়াপুরের হয়ে এসেছিলেন বলেও জানিয়েছে তারা।
সূত্রের তথ্য মতে, বাসটিতে ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি ছিলেন। তারা পুরির দিকে যাচ্ছিলেন। এর আগে এই পর্যটকরা কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন। মূলত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১০০ জন তীর্থযাত্রী ১৭ মার্চ ভারতে আসেন। তারা অযোধ্যা, দ্বারকা, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরসহ বিভিন্ন তীর্থস্থান পরিদর্শন শেষে পুরিতে জগন্নাথদর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। এ দলে প্রবীণ নাগরিকসহঅন্তত ১৭ জন শিশু ছিলেন।
আহত কিছু যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটল সেটি নিরূপণে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, যার ফলে বাসটি সড়ক থেকে ছিটকে পাশের খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা, অপর একটি বাসের যাত্রী এবং পুলিশ সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যখন আহত বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স শিশুভবন স্কয়ার এলাকায় একটি ওভারব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা খায়। এতে আরও কয়েকজন আহত হন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা তীর্থযাত্রীরা পুরীতে ভগবান জগন্নাথের দর্শন এবং পরে বিশ্বনাথ মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একটি ধর্মীয় ভ্রমণে ছিলেন। ওড়িশায় পৌঁছানোর আগে তারা ইতিমধ্যেই অযোধ্যা এবং দ্বারকা পরিদর্শন করেছিলেন।
পিপিলি থানার ইনচার্জ সৌয়মেন্দু শেখর ত্রিপাঠি বলেন, রবিবার ভোরে পিপিলি থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে আসা ১৬ জন তীর্থযাত্রী আহত হয়েছেন। ভুবনেশ্বরের রাজধানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মহিলা যাত্রী, বাংলাদেশের ননিবালা নাথ, আহত অবস্থায় মারা যান।
ত্রিপাঠি আরো জানান, গুরুতর আহত তিনজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বরের এইমস-এ রেফার করা হয়েছে। অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।