এস.এম মফিদুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি:
প্রকৃতির কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডস ওয়ার্থ’র ড্যাফোডিল ফূলের মতো পাটকেলঘাটায় সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহে ছেয়ে আছে বিস্তৃত মাঠ। মাঠে মাঠে এক অপরুপ সৌন্দর্য বিলাচ্ছে সরিষা ফুলের দোল খাওয়া গাছগুলো।
এদিকে প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীত। তীব্রতা বাড়েনি, পড়েনি ঘন কুয়াশার চাদরও। কৃষাণ-কৃষানী ব্যস্থ নবান্নের ধান কাটার কাজে। পুরোদমে উঠে গেছে শীতকালীন সবজি। প্রান্তর জুড়ে উকি দিচ্ছে সরিষার গাছ। পাটকেলঘাটার বিস্তৃত মাঠ জুড়ে যেন হলুদের সমারোহ ঘটেছে সরিষার ক্ষেতে। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ থাকায় ধানের পাশাপাশি কৃষকরা এবার বাম্পার ফলন পাবে সরিষাতেও।
তাদের তথ্যমতে, উপজেলার এবার সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪’শ হেক্টর জমিতে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পরিবেশের এমন অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, তালার ১২ টি ইউনিয়নে এবছর ৪’শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখান থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ৫’শ মেট্রিকটন সরিষা।
সূত্রমতে তালার অধিকাংশ এলাকার কৃত্রিম সৃষ্ট বন্যায় ধানের ক্ষেত-বীজতলা তলিয়ে খানিকটা দেরিতে আবাদ হয়েছে আমনের। একারণে ঐ সকল এলাকার সরিষার ক্ষেত প্রস্তুত করতে তাই কৃষকদের একটু সময় বেশি লেগেছে। কোথাও কোথাও ক্ষেত প্রস্তুত ও হয়নি এখনও। গতবার উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবার কৃষকরাও ঝুকেছেন সরিষার উৎপাদনে। দেশী জাতের পাশাপাশি তারা আবাদ করেছেন বারী-৬ বারী-১৫ জাতের সরিষা।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সামসুল আলম জানান, তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন কৃষকদের সঙ্গে। যাতে তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণভাবে অর্জিত হয়, তাতে কোনো প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি না ঘটে তার জন্য। বিশেষ করে পরামর্শ দিচ্ছেন ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে সঠিক সময়ে সঠিক সার-কীটনাশক প্রয়োগ করতে। তার ধারণা কৃষকেরা নবান্নের হানি ম্লান হবে না সরিষাতেও। জানালেন, কৃষকদের পাশাপাশি তেমনটাই কাজ করে যাচ্ছেন তার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।