নিউজ ডেস্ক: ভারত ও নেপাল তিনটি বহুমুখী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কিত আলোচনা পুনরায় শুরু করতে এবং ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে। এই তিনটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পঞ্চেশ্বর বহুমুখী প্রকল্প, সপ্তকোশি উচ্চ বাঁধ বহুমুখী প্রকল্প এবং সুনকোশি স্টোরেজ কাম ডাইভারশন স্কিম।
এই সপ্তাহের শুরুতে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত পাওয়ার এক্সচেঞ্জ কমিটির বৈঠকের পর শুক্রবার কাঠমান্ডুর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। নেপালের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সন্দীপ দেবের মতে, আসন্ন আলোচনায় বন্যা এবং সেচ সম্পর্কিত বিষয়গুলিও কেন্দ্রীভূত হবে।
দেব নেপালের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-কে বলেন যে, পঞ্চেশ্বর বহুমুখী প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য যৌথ বিশেষজ্ঞ দলের ষষ্ঠ বৈঠক আহ্বানে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।
যৌথ প্রকল্প থেকে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য দুই দেশ বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। নেপালের জ্বালানি ও জলসম্পদ মন্ত্রী দীপক খাড়কাও ভারত সরকার আয়োজিত ‘ভারত শক্তি সপ্তাহ’-এ অংশগ্রহণের জন্য ভারতে এসেছিলেন।
ভারত-নেপাল সহযোগিতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
সপ্তকোশি উচ্চ বাঁধ প্রকল্পটি সম্ভাব্য বন্যা এবং নেপালের স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপর এর প্রভাব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি করে। ২০২৩ সালে, ভারত ও নেপাল বাঁধের উচ্চতা কমাতে সম্মত হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল নেপাল ও ভারতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘মহাকালী চুক্তি’র মূল বিষয় হলো পঞ্চেশ্বর বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল ভারত ও নেপালে জ্বালানি উৎপাদন এবং সেচ বৃদ্ধি করা।
২০২৪ সালের নভেম্বরে, খাড়কার ভারত সফরের সময়, দুই দেশ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ত্বরান্বিত করতে এবং জ্বালানি, পানিসম্পদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়।
নেপালের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক নবীন রাজ সিং গণমাধ্যমকে বলেন, “ভারত সরকার পঞ্চেশ্বর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে এবং নেপালি পক্ষ ভারতীয় কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত অরুণ-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কাজ ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে।”