প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার যে সময় নিচ্ছে তা অত্যন্ত গভীর দূরভিসন্ধি একটা কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির পদ এক দিনের জন্যও শূন্য থাকার কোন অবকাশ নেই। কিন্তু আইন মন্ত্রী বলেছেন এটার কোন সময়সূচি নেই। এটা ভূল, এটা ঠিক নয়। এই যে সময় নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত দূরভিসন্ধি একটা কৌশল। এটা আমরা যে বুঝি না তা নয়। এটা আপনারা করবেন না। এই প্রতিষ্ঠানকে আর ধ্বংস করবেন না। অবিলম্বে আপনাদের উচিৎ হবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া। রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও শৈলকুপা থানা বিএনপি সভাপতি আব্দুল ওহাবের নি:শর্ত মুক্তি দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রফোরাম। সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর পদ যেমন তেমনি বিচারপতির পদ একদিনের জন্যও শূন্য থাকতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী এগুলোতে কোন সময় নেয়া যায় না।
কিন্তু আজকে দু:খের সঙ্গে বলতে হয় প্রধান বিচারপতি এখন পর্যন্ত সরকার নিয়োগ করছে না। কেন করছে না? এটা সরকারের অত্যন্ত গভীর দূরভিসন্ধি মূলক কৌশল। নানাভাবে বিচারপতিদের উপরে চাপ বজায় রাখতেই আজকে এই বিলম্ব তারা করছে। সেজন্য আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং দাবি করি অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করুন।
মওদুদ আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নস্যাৎ করেছে এই সরকার। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে যে শূন্যতা, অরাজকতা বিরাজ করছে যত তারাতারি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হবে এটা দূর হয়ে যাবে।
আবার সুপ্রিমকোর্ট তার নিজের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তারিখ উজ জামান তারেকের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, তাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।