14rh-year-thenewse
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলো ৫০০ বছরের পুরোনো জামে মসজিদ

Link Copied!

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রুস্তুমপুর বড় মসজিদটি সুরমা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর মসজিদের বেশিরভাগ অংশ নদীর গর্ভে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি ছিল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক। তবে প্রশাসনের অবহেলা ও বালু উত্তোলনের কারণে সুরমা নদীর ভাঙনে ৫০০ বছরের পুরোনো এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি হারিয়ে গেলো।
মসজিদের গঠনশৈলী ও কারুকাজ দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হতো। এর ৩টি গম্বুজ এবং দেয়ালে চীনামাটির ভাঙা টুকরো দিয়ে করা নান্দনিক নকশা মসজিদটির সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছিল। প্রায় ২০ বছর আগে এলাকায় নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করা হলেও পুরোনো এই মসজিদে পাঞ্জেগানা নামাজ অনুষ্ঠিত হতো। তবে সুরমা নদীর তীরবর্তী অবস্থানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনের কবলে ছিল মসজিদটি। এরমধ্যে মসজিদ সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে অবশেষে মসজিদটি নদীগর্ভে তলিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, “এই মসজিদে আমাদের বাবা-দাদারা নামাজ আদায় করতেন। আমরাও প্রায়শই এখানে এসে নামাজ পড়তাম। এটি আমাদের আবেগের একটি অংশ ছিল। মসজিদটি হারিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য দুঃখজনক। প্রশাসন যদি কার্যকরী পদক্ষেপ নিত, তাহলে হয়ত এই মসজিদটি রক্ষা করা যেত।”
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বাছিতুর রহমান জানান, “মসজিদটিতে জুমার নামাজ না হলেও প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হতো। তবে সোমবারের ঘটনার পর মসজিদের ভেতরে নামাজ আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ইমামের কক্ষে আগের মতো নামাজ আদায় করা হবে। আমরা বহুবার মসজিদ রক্ষার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, কিন্তু কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে রুস্তুমপুর এলাকার ইউপি সদস্য ফয়জুর রহমান বলেন, “আমরা মসজিদটি রক্ষার জন্য চেষ্টা করেছি, তবে সফল হতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের এমপিকে একাধিকবার জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা যথেষ্ট ছিল না।”
http://www.anandalokfoundation.com/