14rh-year-thenewse
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামে মোবাইল চোর চক্রের অর্ধ-শতাদিক গ্রুপের অার্থিকভাবে নেতৃত্বধানকারী ইউসুফ-নূর সিন্ডিকেট

admin
February 7, 2018 9:36 am
Link Copied!

রাজিব শর্মা(চট্টগ্রাম ব্যুরো): চট্টগ্রাম নগরীতে অর্ধশতাধিক মোবাইল চোর চক্র রয়েছে তাদের অন্যতম মোহাম্মদ ইউসুফ ও নূর আলম সিন্ডিকেট। ওই দুই যুবক এক সময় পকেটমার দলের সদস্য ছিল। এখন পকেটমার ও চোরদের সঙ্ঘবদ্ধ করে চালিয়ে যাচ্ছে চোরা মোবাইলের রমরমা ব্যবসায়। পুলিশ বলছে, ইউসুফ ও নূর আলম চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার শতাধিক মোবাইল চোরের সাথে যোগাযোগ রেখে চালিয়ে যাচ্ছে চোরাই মোবাইলের ব্যবসায়। তারা দুইজন চোরদের যাতায়াত ও আপদকালীন সময়ের জন্য খাটাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গতকাল ৪ জানুয়ারি নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ১০৫টি চোরাই মোবাইল ফোনসহ মোহাম্মদ ইউসুফ (২৩) ও নূর আলম (১৮) গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চক্রটির নানা তথ্য।
গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ ইউসুফ নগরীর সদরঘাট থানার আইস ফ্যাক্টরি রোড স্টেশন কলোনির শাহজাহানের ছেলে এবং নূর আলম একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী দি নিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে আট-নয়টি মোবাইল চোর চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাদের অন্যতম ইউসুফ-নূর সিন্ডিকেট। তারা চোরদের কাছ থেকে অল্প টাকায় মোবাইল সেট সংগ্রহ করে নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের মোবাইলের দোকানগুলোতে সরবরাহ করে। তাদের দুই তিন মিনিটে আয় কয়েক হাজার টাকা।

গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী দি নিউজকে বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, চোরাই মোবাইল সেটের ক্রেতা আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা থাকে। মাঝে মধ্যে অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকে। তাই চোরের মাধ্যমে তাদের হাতে আসার পর মোবাইল বিক্রি করতে তেমন সময় লাগে না।
মোবাইল চুরির কৌশল হিসেবে ইউসুফ ও নূর আলম পুলিশকে জানায়, বাস স্টপেজে বাস থামলে হুড়োহুড়ি করে ওঠার সময় তাদের দলের চোরেরা তৎপর থাকে। আবার ব্যস্ত মার্কেটে মোবাইল চুরি করতে গিয়ে তাদের একজন টার্গেট করা ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে পরে স্যরি বলার মধ্য দিয়ে অন্যমনস্ক করে রাখে। এ সময় অন্যজন কাজ সারে।
পুলিশ জানায়, ইউসুফ দীর্ঘ দিন নগরীতে মোবাইল চোরের একটি সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে কাজ করছে। তার বাড়ি ভোলা জেলায় হলেও চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থান নিয়ে চোরাই মোবাইল ব্যবসায়, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তার সিন্ডিকেটে শতাধিক চোর জড়িত। খুব গরিব পরিবারের সন্তান ইউসুফ বর্তমানে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছে চোরাই মোবাইল বেচাকেনা করে।

জানা গেছে, সে চোরদের কাছ থেকে খুব অল্প টাকায় মোবাইল নূর আলমের মাধ্যমে কিনে রেয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী মার্কেট, শাহ আমানত মার্কেটের অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি থানায় চোরাই মাল হেফাজত রাখার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে নগরীতে ইউসুফ গ্র“পের পাশাপাশি আবছার গ্র“প, বারেক গ্র“প, হাত কাটা ইদু ও তার ভাই রবির গ্র“প ও রনির গ্র“প, মামুন প্রকাশ লাল পোয়া মামুন, কালা জাহাঙ্গীর, রকি, শাহজাহান, জিয়া, বাইট্টা সুমন, পিচ্চি সুমন, নূরু, বাবু, জামাল, শাহজাহান, পিচ্চি রুবেল, নেজাম, কুট্টি, সাইফুল, আজমল, রহমত, বিহারি সোহেল, পিচ্চি আলো, চোরা শরীফ, হাসান, বাঁশখালীর সুমন, জাম্বু জামাল, খোকন প্রকাশ খোকাইয়া, বাবুল প্রকাশ টাক বাবুল, নূরখান ও জাকির, সুমন, কালু, মানিক, জামাই সুমন ও শাহীন, লাল পোয়া আলামিন, মোচ নবী গ্র“প নগরীতে মোবাইল চোর চক্র হিসেবে পরিচিত।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, বাকি সিন্ডিকেটগুলোকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

http://www.anandalokfoundation.com/