গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চম বারের মত ম্যাজিক সরকার গঠন করতে চলেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দলের নিরঙ্কুশ সমর্থন ও দায়িত্ব পালন করে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেন এরপর ২০০৮,২০১৪,২০১৯ সাল টানা তিনবার ক্ষমতায় থেকে চতুর্থ বারের মত হ্যাট্টিক সরকার গঠন করে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে তাক লাগিয়ে দেন দূরদর্শিতাপূর্ণ রাজনীতি ও চৌকস নেতৃত্ব দিয়ে।
২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনের নিরঙ্কুশ সমর্থন ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বিজয় লাভ করবে বলে শোনা যাচ্ছে।পঞ্চমবারের মতন সরকার গঠন করলে সংখ্যা দাঁড়ায় ৫। আর সংখ্যাতত্বের বিচার বিশ্লেষণে ৫ কে ম্যাজিক সংখ্যা বলা হয়ে থাকে,যার অবস্হানকে ধরে রাখা যায় না। এজন্য ২০২৪ সালের নির্বাচনের সরকার গঠনকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের শেখ হাসিনার ম্যাজিক সরকার।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য অনেকগুলি ইতিবাচক দিক রয়েছে যার নেপথ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা ম্যাজিক সরকার গঠন করতে সক্ষম হবেন।
আর সেই ইতিবাচক দিকগুলি (১)মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরেই দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের একক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব।
(২)সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আওয়ামীলীগের দলীয় নিরঙ্কুশ সমর্থন ও দূরদর্শিতাপূর্ণ সুযোগ্য নেতৃত্ব
(৩)দেশরত্ন শেখ হাসিনার তুমুল জনপ্রিয়তা ও সময়ের সঠিক স্বিধান্তে তৃণমুল থেকে কেন্দ্রে আস্হা,বিশ্বাস ও
ভালোবাসা।
(৪)আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের পরিচিতিতে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রগতিশীল কৌশল অবলম্বন।
(৫)বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন,তথ্য-প্রযুক্তির সমৃদ্ধি ঘটেছে যা এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক।ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত এবং পরবর্তীতে লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ।
(৬)করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও আন্তজার্তিক বাজার,সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ,দূর্ণীতি,মাদক নির্মুল নিয়ন্ত্রণে ভূয়সী নেতৃত্ব।
(৭)আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের জনগনের নির্জস্ব টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ বাস্তবায়ন,সমুদ্রসীমা বিজয়,অত্যাধুনিক ফ্লাইওভার নির্মাণ,মেট্রোরেল,কর্ণফুলী টানেল,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপন,রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র,রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র,আইটি ও ইকো টুরিজম পার্ক স্হাপনসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন।
(৮)রপ্তানি ও মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি,যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার,বয়স্কভাতা,বিধবা ভাতা,স্বামী পরিত্যক্তা,ভিজিডি,ভিজিএফ ও রেশন কার্ড,
বিধবা,প্রতিবন্ধী,জেলে,মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান,ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে বই বিতরন,ফ্রি পড়ালেখা ও উপবৃত্তি প্রদান।
ভূমিহীনদের আশ্রয় ও ঘর নির্মান।
(৯)সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,চিকিৎসা কেন্দ্র, রাস্তাঘাট,সেতু,কালভার্ট,কার্পেটিং রাস্তা,বিদ্যুৎ নির্মানসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড।
(১০)সরকার প্রধান হিসেবে প্রশাসন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্কে আস্হা বিশ্বাসে অবিচল।
(১১)দেশের ক্রাইসিস মুহূর্তে একক ও দূরদর্শিতাপূর্ণ রাজনৈতিক স্বিধান্ত ও ভিন্ন ভিন্ন পলিসি গ্রহনে সফলতা ও বাস্তবায়নে কঠিন স্বিধান্ত প্রয়োগ।
উপরোল্লিখিত ইতিবাচক দিকগুলো ছাড়াও যেমন আওয়ামীলীগের অপজিশন রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামাতে ইসলামী ও কয়েকটি শরীক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারনেও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আবারো সরকার গঠন করবে এ কথা দিবালোকের মত পরিস্কার। এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগের সাথে মোকাবেলা করার মত আর দ্বিতীয় কোন শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এখনও নেই কিংবা সৃষ্টি হয়নি।বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ আরো সুগম হয়েছে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত,দেশীয়-আন্তর্জাতিক মিডিয়া-জার্নাল,প্রযুক্তিগত তথ্য,জনমত যাচাই-বাছাই করে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ২২০-২৩০ আসনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও সমর্থন পেয়ে পঞ্চমবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাজিক সরকার গঠন করতে চলেছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমনভাবে প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে যেখানে যোগ্য,শিক্ষিত,সৎ,অসাম্প্রদায়িক,স্বচ্ছ,ক্লিন ইমেজ,নেতৃত্ব,দূর্ণীতিমুক্ত,ছাত্রলীগ নেতা,জনপ্রিয়,উইনেবল প্রার্থীদেরকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যার কারনে সাধারণ ভোটাররা সহজেই আওয়ামীলীগ তার শরীকদলগুলোর প্রতি আস্হা রেখে সচেতন নাগরিক হিসেবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ও নির্বাচনে উৎসাহ,আমেজ ও উদ্দীপনার সাথে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।সাধারণ ভোটাররা শান্তি,শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতিতে বসবাস করতে চান।সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।
আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ রোজ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে উৎসব,উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশ।সাধারণ জনগন ও ভোটারদের মাঝে ফিরে পেয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য,আশা আকাঙ্খা,উৎসাহ উদ্দীপনা।নির্বাচনী আমেজকে আরোতর শ্রীবৃদ্ধির লক্ষে বাংলাদেশ সরকার,প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানামুখী আইনগত পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন সাংবিধানিক কর্মসূচি গ্রহন করেছে।নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্যতা,পরিপক্ব ও নিরপেক্ষ প্রমাণ করার জন্য সাধারণ ভোটারদের দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৬০-৬৫% হতে পারে। এই মুহুর্তে দেশের মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সরকারের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন ও সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো শান্তি শৃঙ্খলা বজায় সহ সকল প্রকার সহিংসতা,পেশিশক্তির প্রভাব মোকাবেলায় সদা ততপর রয়েছে।আসন্ন নির্বাচনকে যাতে কেউ প্রতিহত করতে না পারে এবং নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত না হয় সে লক্ষ্যে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রতিহত না হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।সারাদেশে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত করেছে সরকার, আগামী ৫-৯ জানুয়ারী মাঠে থাকবেন অতিরিক্ত ১৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ টি আসনে নিবন্ধিত ২৮ টি রাজনৈতিক দলের সর্বমোট ১৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে।সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের। হাইকোর্ট থেকে ৩ জন পুনরায় প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় দলটির প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৬ জন। জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন,তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন,ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন,বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮ টি রাজনৈতিক দলগুলোর মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৪ জন।আর স্বতন্ত্র প্রার্থী সংখ্যা ৪৩৬ জন।এর মধ্যে ৭৫ জন প্রার্থী হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,জাতীয় পার্টি,তৃণমূল বিএনপি,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন,জাসদ,ওয়ার্কার্স পার্টি,ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ,ইসলামী ঐক্যজোট,কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ,গণফোরাম,গণফ্রন্ট,জাকের পার্টি,জাতীয় পার্টি জেপি,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল,ন্যশনাল পিপলস পার্টি,বিকল্প ধারা বাংলাদেশ,বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট,বাংলাদেশ কংগ্রেস,বাংলাদেশ কল্যান পার্টি,বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন,বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি,বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন,বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি(ন্যাপ),বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ,বাংলাদেশ মুসলিম লীগ,বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি,বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট,বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল(এম এল) ও গণতন্ত্রী পার্টি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে।আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ২৯৯ আসনে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।নওগাঁ ২ আসনে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর কারনে পরবর্তীতে এ আসনে নির্বাচন হবে।
এদিকে বিএনপি,জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ,ইসলামী আন্দোলনসহ জোটগত কিছু রাজনৈতিক দল দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি এবং তাদের প্রার্থী দেননি।ভোটের মাঠ যখন নির্বাচনী উৎসব আমেজ ও উদ্দীপনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সেখানে বিএনপি-জামায়াত ইসলামী নির্বাচন বাতিল করার আন্দোলন নিয়ে অবরোধ,হরতাল-অবরোধসহ নানামুখী কর্মসূচি নিয়েছে।তাদের দাবি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। বিএনপি জামায়াতের নানামুখী আন্দোলন কর্মসূচি পর্যালোচনা করে দেখা যায় তারা বারবারই ব্যার্থ এবং অসফল।তৃণমূল পর্যায়ে এ কর্মসূচি বেগবান করতে সক্ষম নন তারা।এজন্য তাদের এ কর্মসূচি ও আন্দোলনের প্রভাব বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে কোন প্রকার প্রভাব পড়ছে না।বরং বর্তমান সরকারের নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহনযোগ্য অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।আন্তর্জাতিক ভাবে এ নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা সফল হবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞবৃন্দ।
এ নির্বাচনে দেশীয় ও আন্তজার্তিক ভাবে কোন প্রভাব ও চাপ প্রয়োগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নির্বাচন মাইলফলক হয়ে থাকবে।বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীসহ শরিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক ভূল স্বিধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দেশের খ্যাতনামা সুধীজন।বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে পারলেই নির্বাচন বন্ধে আন্দোলনরত বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-হরতালসহ সকল কর্মসূচীর কোন ভিত্তি থাকবে না।এবং এ আন্দোলনের দাবির পক্ষে কোন যোক্তিকতা থাকবে না। ফলে তারা সাংগঠনিকভাবে আরো ভীত ক্ষতিগ্রস্ত,বিচ্ছিন্ন ও দূর্বল হয়ে পড়তে পারে।অদূর ভবিষ্যৎ এটি তাদের জন্য অশনি সংকেত।নির্বাচন বন্ধ ও বাঞ্চালের জন্য তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন লিফলেট,প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন নানান কৌশলে।যেকোন মূল্যে তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে এ নির্বাচনকে ঠেকানোর চেস্টা করছেন তারা।কিন্তু সেটি অসম্ভব,নির্বাচন কমিশন কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন নির্ধারিত সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারে সাধারণ জনগনের অংশগ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।কেউ এ নির্বাচন ঠেকাতে আসলে তাদের আইনের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এবং শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন ও স্হানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে মাঠে নেমেছেন স্ব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।সেনাবাহিনী ৩ জানুয়ারী সকাল থেকে মাঠে নেমেছেন এবং আগামী ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা।ইতিমধ্যে ৬২ টি জেলায় সেনাবাহিনী এবং সমতলের সীমান্তবর্তী ৪৫ টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে এবং উপকূলীয় ৪ টি উপজেলায় কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী।উপকূলীয় ২ টি জেলাসহ ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।এছাড়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনী হেলিকপ্টার দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবে।এছাড়া স্ব সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্হাপন করা হয়েছে যা ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।ভোটের মাঠ এখন নির্বাচন কমিশন (ইসির) নিয়ন্ত্রণে।সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে,এখন ইসির ভাবনায় শুধু উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের দিন “স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি” অ্যাপের মাধ্যমে নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ভোট পড়ার হার দুই ঘন্টা পরপর জানাবে নির্বাচন কমিশন।জাল ভোট প্রদান এবং নির্বাচনে ভোট প্রদানে প্রভাব বিস্তার করলে অভিযুক্তকে ৭ বছরের জেল জরিমানা এবং দায়িত্বরত কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদেরও ক্ষেত্রেও আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।ভোট কেন্দ্রে ভোটের দিন সকালে ভোটগ্রহণের আগেই ব্যালট বক্স ও ব্যালট পেপার পৌঁছে দিবে নির্বাচন কমিশন। এবং সকল দলের পোলিং এজেন্টদের স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ব্যালট পেপার বুঝে নিতে পোলিং এজেন্টদের আহবান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল।ইতিমধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো:শাহাবুদ্দিন ভোট গ্রহনের তিনদিন আগে বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমেও ভোট প্রদান করেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।এবার তিনি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার চালু করেছেন বলে জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ভারত,জাপান,ওআইসি ও আরবলীগ সহ আরো কিছু রাষ্ট্রের ২২৭ বিদেশী পর্যবেক্ষক-সাংবাদিক।এছাড়া দেশীয় ২০৭৭৩জন স্হানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০৭৭৩ জন দেশীয় পর্যবেক্ষক যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড,ইসি জানিয়েছে এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্হার ৫১৭ জন এবং স্হানীয়ভাবে ৮৪ টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবে।সবমিলিয়ে ২০৭৭৩ জন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক।নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিবন্ধিত ৮৪টি পর্যবেক্ষক সংস্হার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে ১২ দেশের পর্যবেক্ষক সংস্থা সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।বিভিন্ন দেশের সংস্হা থেকে ৪৪ জন আন্তজার্তিক পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক ভোট পর্যবেক্ষণে আসবে বলে জানিয়েছে।এরমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪জন,বার্তা সংস্হা এজেন্সী ফ্রান্স প্রেসের ১২ জন,আবুধাবি ১ জন,ভারতের এনডিটিভির ২জন,সাউথ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ৪ জন,ব্রিটিশ হাইকমিশনের ১ জন,ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টেরিয়ান কংগ্রেসের ৩জন,সুইডিশ রেডিও ১জন,জাপানের ১জন,জার্মানির ২জন,ইতালি ১জন,অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের ১জন,এছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআরআই ও এনডিআই এর ৫ সদস্য,উগান্ডার ১১জন আসবেন আফ্রিকান ইলেকটোরাল অ্যালায়েন্স থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করবে।এত বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষক থাকার ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা আরো বেশি নিশ্চিত হবে এবং আন্তজার্তিক গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকবৃন্দ।
সবমিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুষ্ঠু,অবাধ,স্বচ্ছ,নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য প্রমাণ করতে সফল হতে চলেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।আর স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মধ্যে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পঞ্চমবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ম্যাজিক সরকার গঠন করতে চলেছে।
