বগুড়া প্রতিনিধি: তিন মাস বন্ধ থাকার পর বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ৪ জুলাই শনিবার সকাল ৯টা থেকে চালু করে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন। বগুড়ায় করোনা রোগীদের জন্য ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালটি করোনা আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে চালু ছিল। সে কারণেই গত ২৯ মার্চ থেকে প্রায় ৩মাস ওই হাসপাতালের বর্হিবিভাগ অন্য রোগীর সেবা বন্ধ ছিল বলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বগুড়া জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে ২৫০ শয্যার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অধিকাংশ রোগীকে ছাড়পত্র ও গুরুতর অসুস্থদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ থেকে ১২৮ বেডের আইসোলেশন ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হলে এখানে করোনাভাইরাস ও উপসর্গে আক্রান্তদের ভর্তি করা হতো। তখন থেকে অন্য রোগে আক্রান্তদের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা ও রোগী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এদিকে গত ২৯ জুন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(শজিমেক) ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম ও শজিমেকে ভর্তি হওয়ার কারণে আইসোলেশন ইউনিটে রূপান্তরিত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে রোগী কমতে শুরু করে।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের ডা. খায়রুল বাশার মমিন জানান, ১২৮ বেডের আইসোলেশনে ৩ জুলাই শুক্রবার ৭৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ ৬৬ জন। অথচ কয়েকদিন আগেও এখানে ১৩০ জন রোগী ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ওই হাসপাতালের কর্মরত ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, করোনায় আক্রান্তের কারণে জনবল(চতুর্থ শ্রেণি)’র কর্মচারীর সংকট রয়েছে। এরপরও সাধারণ রোগীদের কথা চিন্তা করে বৃহত্তর স্বার্থে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে এ হাসপাতালে প্রথমে মেডিসিন, সার্জারি ও গাইনি বিষয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে শিশু, নাক-কান-গলা, চক্ষুসহ অন্যান্য বিভাগ চালু করা হবে। তবে আপাতত কোনও রোগী ভর্তি করা হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফলে করোনার কারণে ৩মাস পর মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী দেখা শুরু হওয়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি দেখা দিয়েছে।