আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: বর্ষা মৌসুমে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এবছরে ১১ হাজার ৫শ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। পাটের আঁশ সংগ্রহের পাশাপাশি ঊফশি আমন ধানের চারা রোপনের কাজ প্রায় শেষে দিকে। এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২৫ হেক্টরজমিতে ধানের চাষ সম্পন্ন হয়েছে। আরো কিছু জমিতে আবাদ হতে পারে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, আগে একটি জমিতে বছরে দুই প্রকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হতো। এরমধ্যে পাট ও পিয়াজ অন্যতম। বর্তমানে একটি জমিতে ৩ প্রকার ফসলের চাষ করা যায়। শীত মৌসুমে এই অঞ্চলের কৃষকরা পিয়াজ চাষ করে। চৈত্র মাসে পিয়াজ ঘরে তুলার পরে পাটের বীজ বপন করেন। অনেকেই পাট কাটার আগে (ছোট পাট ছাটাইয়ের সময়) বা পাটের মধ্যে দিয়ে আধুনিক কায়দায় উফশি আমন ধানের বীজ বপন করে থাকেন। আবার অনেকেই পাটকাটার পরে আমনের চারা রোপন করেন। পানি কম থাকায় কৃষকরা আমন চাষের উপর ঝুকে পড়ে। পাটের আঁশ সংগ্রহের পাশাপাশি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠেই কৃষকরা আমন ধানের বীজ বপন ও চারা রোপন করেছেন।
বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষীরা এ প্রতিবেদককে জানান, এই উপজেলার প্রধান ফসল পাট ও পিয়াজ। পাট-পিয়াজের পাশাপাশি ধান, গম, ধনে, রাই, সরিষা, তিলসহ হরেক রকমের ফসলের চাষ হয়ে থাকে। এবার আমন ধান চাষের উপর ঝুকে পড়েছে কৃষকরা। সেক্ষেত্রে আবহাওয়া যদি ধানের অনুকুলে থাকে তাহলে কৃষকদের কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে। বর্তমানে ধানের চারা রোপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে রোপা আমন ধানের চারা রোপন শেষ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, এ মৌসুমে উফশি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫শ’ ৯৫ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২৫ হেক্টরজমিতে ধানের চাষ সম্পন্ন হয়েছে। আরো কিছু জমিতে ধানের আবাদ হতে পারে। গত বছর ১২ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছিলো। এবার আবহাওয়া ধানের অনুকুলে থাকলে প্রচুর ধান উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী।