রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় পি,আই,ও অফিসে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো (টি,আর) কর্মসূচি ২য় পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে নিম্নমানের সোলার ক্রয়ে চেয়ারম্যান/মেম্বারদের জিম্মি করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ শাসনামলে সাধারণ কৃষকদের দিয়ে বাধ্যতামুলক নীল চাষ করা হতো। বাঙ্গালীর উপর জুলুম নির্যাতন চালাতো ব্রিটিশ সরকার। একই ধারা বাহিকতায় রাণীশংকৈল প্রকল্প অফিসার জিয়াউর রহমান নিম্নমানের সোলার কোম্পানীর সাথে আর্থিক সুবিধাভোগে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তার মনগড়া আইন চালু করেছে । খোলা বাজারে যে সোলারের মূল্য ১৪ হাজার ২’শ টাকা ধরা হয় সোলার প্রকল্পে তা ২৯ হাজার ২’শ টাকা দেখানো হচ্ছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুলতান জানান। তিনি আরো বলেন, প্রজেক্ট আমার, কমিটি আমার, অথচ প্রকল্প অফিসার তার মনগড়া নিয়ম করে অনিয়ম ভাবে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কুলূরবলদ বানিয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছেন।
জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামোর (টি,আর) কর্মসূচি ২য় পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রকল্প অফিসার জিয়াউর রহমান তার মনগড়া সোলার ইন কোম্পানি (ঝড়ষধৎ ঊহ ঈড়সঢ়ধহু)’র সাথে বিশেষ কমিশনের মাধ্যমে সোলার ক্রয়ের সার্বিক ব্যবস্থা সম্পন্ন করেন। যা স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ এবং একাধিক ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ অভিযোগ তুলেছেন। প্রকল্প অফিসার জিয়াউর রহমান তার ব্যক্তিগত অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে বিশেষ করে তার পছন্দের একটি কোম্পনির মাধ্যমে সোলার ক্রয় করে আসছেন। যা প্রকল্প চেয়ারম্যানগন নিম্নমানের সোলার নিতে চাইছেন না। সোলার ক্রয়ের বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি ভাবে সোলার ক্রয়ের বিষয়টি কোন কোম্পানির মারফতে নিতে হবে কিংবা নির্দিষ্ট কোন কোম্পানি রয়েছে কিনা সাধারণ মানুষ দিধা দ্বন্দে রয়েছেন।
ইউপি সদস্য জলিল ও আজাদ বলেন এ কোম্পানির নিম্নমানের সোলার দিয়ে প্রকল্প অফিসার নিজেকে লাভবান করে তুলছেন। এদিকে সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম, রফিউলসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন-প্রকল্প প্রতি ২ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়ে থাকে পিআইও জিয়াউর রহমান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সুপার রফিকুল ইসলাম প্রকল্প অফিসার’র সোলার কোম্পানির সাথে যোগ সাজসের বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান।
প্রকল্প অফিসার জিয়াউর রহমানের সাথে এ বিষয়ে বলেন- রাণীশংকৈল উপজেলায় শুধু মাত্র “ সোলার ইন কোম্পানির (Solar En Company) ” সোলার ক্রয় করতে হবে অন্যথায় ৩০ জুনের পরে প্রকল্পগুলি ফেরত যাবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার নাহিদ হাসান বলেন-কোন রকমের দুর্নীতি না হওয়ার জন্যই সরকার এ সমস্ত প্রকল্প সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।
জানা যায় বরাদ্দ কৃত অর্থ দিয়ে ধর্মীয়/শিক্ষা/জনকল্যাণ মূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত ব্যয় হওয়ার কথা। বরাদ্দকৃত ৫০% অর্থ সোলার প্যানেল ও বায়োগ্যাস প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে এবং পরিদর্শন ও মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে কিন্তু অপর পক্ষে চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। ক্ষমতা সম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের স্বজন প্রীতির মাধ্যমে মনগড়া তালিকা প্রস্তুতেরও অভিযোগ জানা গেছে। এমন অবস্থায় প্রকল্প অফিসার নিজের পকেট ভারি করতে ব্যস্ত হয়েছেন বললেন সোলার ভোগীরা। ৩০ জুনের মধ্যে উক্ত কোম্পানির সোলার ক্রয়ে ব্যর্থ হলে প্রকল্প ফেরত যাবে সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন প্রকল্প অফিসার জিয়াউর রহমান। কি ঘটতে যাচ্ছে ৩০ জুন সোলার প্যানেল প্রকল্পে, দেখতে চায় রাণীশংকৈল বাসী।