ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর ন্যাটো সদস্যপদের প্রতি ফিনল্যান্ডে জনসমর্থন বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অবিলম্বে সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের পদক্ষেপের জন্য ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’ নিতে বাধ্য হবে জানিয়েছে রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার ১৩০০-কিমি (৮১০ মাইল) সীমান্ত রয়েছে। এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি উত্তর ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
দেশটির সংসদ এবং সিনিয়র রাজনৈতিক নেতারা ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করলে আগামী রোববার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে ফিনল্যান্ড।
এতে বলা হয়, ‘ন্যাটো সদস্যপদ ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা জোরদার করবে। ন্যাটোর সদস্য হিসেবে, ফিনল্যান্ড সমগ্র প্রতিরক্ষা জোটকে শক্তিশালী করবে। ফিনল্যান্ডকে বিলম্ব না করে ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। ‘
একই দিনে একই ধরনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে সুইডেনও।
এদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন যে তিনি আশা করছেন সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ দেওয়ার প্রক্রিয়া ‘বেশ দ্রুত’ হবে।
হোয়াইট হাউস বলেছে যে তারা (সুইডেন ও ফিনল্যান্ড) আবেদন করলে যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশকে সমর্থন করবে।
অপরদিকে এক রাশিয়া বিবৃতিতে (রুশ ভাষায়) ফিনল্যান্ডের পদক্ষেপকে ‘দেশের পররাষ্ট্র নীতিতে একটি আমূল পরিবর্তন’ বলে বর্ণনা করেছে।
এতে বলা হয়, ‘ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদান রাশিয়ান-ফিনিশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং উত্তর ইউরোপীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। এ থেকে উদ্ভূত তার জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি নিরপেক্ষ করার জন্য রাশিয়া সামরিক-প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য প্রকৃতির উভয় ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। ‘
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটো সদস্য হলে রাশিয়ার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠবে, রুশ সংবাদ সংস্থা রিয়া।
এর আগে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিসটো এবং প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্তের আশা করছেন।