নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের বাংলাবাজারে ইউনিয়ন যুবলীগের দু‘গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলকারীরা ১টি দোকানে ভাংচুর করে। এ নিয়ে বাংলাবাজারে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশংকায় রয়েছেন বাজারের সাধারন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, কুর্শি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে যুবলীগ। এক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে একাংশের আহবায়ক নেছার আহমদ জগলু, যুগ্ম আহবায়ক আবু সাঈদ। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে একাংশের আহবায়ক জামাল খান, যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবৎ দুই পক্ষের মধ্যে রেশারেশি ও গ্রুপিং লবিং চলে আসছিল।
গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বাংলাবাজারের তায়িদ মিয়ার দোকানের সামনে একাংশের আহবায়ক জামাল খান, যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, জামাল হোসেনসহ তাদের কয়েকজন অনুসারী নিয়ে অবস্থান নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। এ সময় অপর পক্ষের আহবায়ক নেছার আহমদ জগলু, যুগ্ম আহবায়ক আবু সাঈদ এর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিন করে। এক পর্যায়ে মিছিল থেকে অবস্থান নিয়ে দাড়িয়ে থাকা অপর অংশের লোকজনের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালানো হয়। এ সময় তারা পিছু নিয়ে পার্শের মেসার্স খান ট্রেডার্স এর দোকানের সামনে গিয়ে অবস্থান নিলে সেখানে ও ইট পাটকেল, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এ সময় হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই দোকানের ভেতর প্রবেশ করে দোকানের সার্টার লাগিয়ে রাখলে সার্টার ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে তাদের উপর আক্রমন করা হয়।
এ সময় হামলাকারীরা দোকানের মালামাল তছনছ করে ফেলে যায়। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক দেখা দিলে মানুষ দিকবেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। হামলায় আহতরা হল, জামাল হোসেন, আখলিছ মিয়া, রিপন সুত্রধর, জাহাঙ্গীর মিয়া, আজিজুল হক ও অলি আহমদ। এ ঘটনা পর স্থানীয় মেম্বার বিশিষ্ট সাংবাদিক এম এ বাছিত তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আব্দুল মুকিত চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ শিপন আহমদ ও তায়িদুর রহমানসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এবং এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।