যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ “সন্তান”। আর যে সন্তান যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে অমানুষ হয়ে যায় তাহলে সে সন্তানের পিতামাতার মতো হতোভাগা এ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
শনিবার সকাল ১০টার সময় বেনাপোল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে এক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসাবে তিনি একথা বলেন। বেনাপোল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার আলী আনু’র সভাপতিত্বে এ সভায় শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, আমার খুবই “শখ” শার্শা উপজেলার সকল ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। আর সে লক্ষ্যে পৌছাতে পারলেই আমার ডিজিটাল শার্শা উপজেলার স্বপ্ন স্বার্থক হবে।
সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন অভিভাবকদের লক্ষ্য করে বলেন, আমার এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে চায় আপনাদের সহযোগিতা। যে সহযোগিতা কোন অর্থনৈতিক বা আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য বলব না। আমার একমাত্র চাওয়া আপনার সন্তানকে ঘিরে। কেবল আপনার নিজ সন্তানের দেখভালের দ্বায়িত্বটুকু নিয়ে তার দিকে খেয়াল রাখবেন। সে যেন ঠিকমতো লেখাপড়া করে। একজন কৃষক যেমনভাবে সযতেœ মাঠে ফসল ফলায় তদ্রুপভাবে আপনার সন্তানকে দেখাশোনা করলেই আমার ডিজিটাল শার্শা উপজেলাসহ প্রধাণ মন্ত্রীর ডিজিটাল সোনার বাংলা গঠন করা খুবই সহজ হবে বলে আমি বিশ্বাষ করি।
তিনি বলেন, আপনার সন্তান সুশিক্ষিত হলে আপনার লাভটাই সবচেয়ে বেশি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, কোন সুশিক্ষিত সন্তান বোঝা নয়। আপনার সন্তান লেখাপড়া শিখে পরিপূর্ণ মানুষ হলে একদিন আপনার ঘর-ই আলোকিত হবে। আপনি হবেন এক গর্বিত বাবা-মা। এসাথে তার কিরণ ছড়াবে এলাকাসহ সমগ্র দেশে। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান প্রমুখ। এ অভিভাবক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্য(ওসি) অপূর্ব হাসান, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক শওকত আলী, সহকারি শিক্ষক মোকলেসুর রহমানসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও অভিভাবক মন্ডলীর সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, শিক্ষানুরাগী শদিুল্লাহ মাস্টার, আহসান উল্লাহ মাস্টার, সামাজিক ব্যক্তিত্ব শাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মহাতাপ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান ঘ্যানা, প্রচার সম্পাদক আকবার আলী বেনাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, বেনাপোল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তাহাজ্জেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান শহীদ, যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান, শার্শা উপজেলা বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, যুবলীগ নেতা তোতা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন রুবেল, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুজ্জামান নাহিদ, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক আওয়াল হোসেন, বেনাপোল পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর আহাদুজ্জামান বকুল, যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুল ইসলাম পারভেজ, সহ সভাপতি শাহাজালাল সোহেল, আল ইমরান, সুমন হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক সুমন মাহমুদ, কামাল হোসেন, হাসানুজ্জামান তাজিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন রুবেল, মফিজুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সুমন, ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন রাব্বি, বেনাপোল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, বেনাপোল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান সজিব, পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, নেতা রেজাউদ্দিন রেজা, যুবলীগের সভাপতি হাদিউজ্জামান, বেনাপোল ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান আহম্মেদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বাক্কার বাক্কা, সাধারণ সম্পাদক ইয়ার আলী, যুবলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মল্লিক, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী জুলু, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কালাচান কাজী কালু মেম্বর, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজনুর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক আলম, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তিপদ গাঙ্গুলী, সাংগঠনিক সম্পাক বাবু, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল সর্দার, যুবলীগের সভাপতি জসীম, গাতিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি শেখ আফিল উদ্দিন এমপি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা করেন, বেনাপোল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাসুদ আক্তার বাবু খান, মোশারফ হোসেন, শিক্ষক ইন্তাজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান।