নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী মাদ্রাসা’র সত্যতা বেরিয়ে এসেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখ থেকে, যিনি ভারতের ভয়ে কাঁপছেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ শুক্রবার জাতীয় পরিষদে স্বীকার করেছেন যে “যদি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে মাদ্রাসার ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হবে, কারণ তাদেরকে প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় সারির সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।”
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠেছে যে উভয় দেশই যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। অপারেশন সিন্দুরের পর, পাকিস্তান ক্রমাগত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারতের সতর্ক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে প্রতিবারই পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জবাবে, ভারতের গৃহীত পদক্ষেপে পাকিস্তানকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তান এখন ‘দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা লাইন’ নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিশোধে ভীত পাকিস্তান
ভারতের প্রতিশোধে ভীত পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের মুখ থেকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী মাদ্রাসাগুলির সত্য বেরিয়ে এসেছে। জাতীয় পরিষদে এই সত্যটি বেরিয়ে এসেছে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘মাদ্রাসার শিশুরা প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় লাইন’।
মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় লাইন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে
প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ শুক্রবার জাতীয় পরিষদে স্বীকার করেছেন যে “যদি পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে মাদ্রাসার ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হবে, কারণ তাদের প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় লাইন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।”
পাকিস্তান যুদ্ধে মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহার করবে
জাতীয় পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “যতদূর মাদ্রাসা বা মাদ্রাসার ছাত্রদের কথা বলা হচ্ছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই যে তারা আমাদের প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় সারির, অর্থাৎ সেখানে অধ্যয়নরত যুবকরা। সময় এলে তাদের ১০০ শতাংশ ব্যবহার করা হবে।”
এখন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের অর্থ বুঝুন
সাধারণত শিশু এবং যুবকরা স্কুল-কলেজ বা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যায়। কিন্তু পাকিস্তানে এমন অনেক মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে শিশু এবং যুবকদের পড়াশোনার পাশাপাশি সন্ত্রাসী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। লস্কর-ই-তৈয়বা প্রধান হাফিজ সাইদের মাদ্রাসা, জইশ-ই-মোহাম্মদের মাসুদ আজহারের মাদ্রাসাগুলি সেখানে অধ্যয়নরত শিশুদের সন্ত্রাসী বা জিহাদি হিসেবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
এর অনেক প্রমাণ আগেও প্রকাশিত হয়েছে। ভারতও অনেকবার এটি উল্লেখ করেছে। অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ভারত যে সন্ত্রাসী আস্তানাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তার বেশিরভাগই ছিল মসজিদ বা মাদ্রাসা। সেখানে অধ্যয়নরত শিশুদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।