ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বেঁচে আছেন। তিনি আফগানিস্তানে আল কায়েদার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে “তার নেতৃত্বে, আল কায়েদা পুনঃসংগঠিত হচ্ছে এবং পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তুতে ভবিষ্যতে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দ্য মিররের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন বেঁচে আছেন এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
একটি বিস্ফোরক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে হামজা এবং তার ভাই আবদুল্লাহ বিন লাদেন আফগানিস্তান থেকে গোপনে আল কায়েদা চালাচ্ছেন।
ন্যাশনাল মোবিলাইজেশন ফ্রন্ট (NMF), একটি তালেবান-বিরোধী সামরিক জোট, হামজা এবং তার সহযোগীদের অপারেশনের বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। “সন্ত্রাসের রাজপুত্র” বলে আউটলেটটি বলেছে। লোকটি উত্তর আফগানিস্তানে 450 স্নাইপারদের অবিচ্ছিন্ন সুরক্ষায় লুকিয়ে আছে।
এনএমএফ সতর্ক করেছে যে 2021 সালে কাবুলের পতনের পর থেকে আফগানিস্তান একটি “বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” হয়ে উঠেছে।
এতে বলা হয়েছে, “হামজা বিন লাদেনকে দারা আবদুল্লাহ খেল জেলায় (পাঞ্জশিরে) নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে 450 জন আরব ও পাকিস্তানি তাকে রক্ষা করছে যে “তাঁর নির্দেশে, “আল কায়েদা পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।” পশ্চিমা লক্ষ্যবস্তু।”
এনএমএফ রিপোর্ট দাবি অস্বীকার করেছে যে হামজা 2019 মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল।
হামজা আইমান আল-জাওয়াহিরির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন বলে মনে করা হয়, যিনি ওসামাকে হত্যার পর আল কায়েদার অপারেশনের দায়িত্ব নেন।
আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে হামলার আহ্বান জানিয়ে তার অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর হামজার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়, তবে বিবিসির পূর্ববর্তী প্রতিবেদন অনুসারে, মৃত্যুর স্থান এবং তারিখ স্পষ্ট ছিল না। পেন্টাগনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
হামজা বিন লাদেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং ইরানে গৃহবন্দী বলে মনে করা হয়েছিল।
হামজার বাবা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে একটি কম্পাউন্ডে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে নিহত হন। তিনি 11 সেপ্টেম্বর, 2001-এ আমেরিকাতে হামলার অনুমোদন দেন, যাতে প্রায় 3,000 মানুষ নিহত হয়।
