13yercelebration
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর প্রয়াত এমপি ফরিদ গাজীর ৭ম মৃত্যুবাষির্কী আজ

admin
November 19, 2017 7:32 am
Link Copied!

উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ  আজ ১৯শে নভেম্বর সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর হবিগঞ্জ ১ আসনের আওয়ামীলীগের প্রয়াত সাংসদ দেওয়ান ফরিদ গাজীর ৭ম মৃত্যু বাষির্কী।

কালজয়ী এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষ্যে নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মসজিদ,মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করছে আওয়ামলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বর্নাঢ্য এ রাজনীতিবিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ঃ- হযরত শাহ জালালের অন্যতম সফর সঙ্গী হযরত তাজ উদ্দিন কোরেশী (রাঃ) এর ১৬ তম বংশ ধর ছিলেন।১৯২৪ সালে ১ মার্চ তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার দিনারপুর পরগনার দেবপাড়া গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। তিনি ৬ ছেলে ২ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।

দেওয়ান ফরিদ গাজী যে সব আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন (১) আসামের বাঙাল খেদাও আন্দোলন,(২) লাইন প্রথার বিলোপ (৩)৪৭ এর ঐতিহাসিক গণভোট,(৪)৫২ ও ভাষা আন্দোলন,(৫) ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন(৬),৬৯র ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান (৭) ৭১র মহান মুক্তিযুদ্ধ (৮)৯০র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, (৯) ৯৪র সিলেট বিভাগ আন্দোলন সহ দেশের সবকটি ঐতিহাসিক কর্মকান্ডে তিনি ছিলেন প্রথম কাতারে।

স্কুল জীবনে নবম শ্রেনীতে অধ্যয়ন কালেই ১৯৪২ সালে“কুইট ইন্ডিয়া” বৃট্রিশ খেদাও আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেন। কলেজ জীবনে আসাম মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সিলেট এম.সি কলেজ শাখার সাধারন সম্পাদক আসাম প্রাদেশিক শাখার সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪৫ সালে তিনি মজলুম জননেতা মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আহবানে বাঙ্গাল খেদাও আন্দোলনে যোগদান করেন । ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে তিনি সিলেট আসন থেকে বিপুল ভোটে প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য এম এন এ নির্বাচিত হন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারে ১ম স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় রাজনীতি পূর্নজীবিত করলে তিনি আওয়ামীলীগের মিজান গ্রুপের সিনিয়র সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মিজানুর রহমান চৌধুরীর সাথে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি পৃথক দল গঠন করেন “ফরিদ-মহীউদ্দিন” গ্রুপ নিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী ড.কামাল হোসেনের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। পরে শেখ হাসিনার আহবানে পূনরায় আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং জাতীয় সংসদের প্রাথমিক ও গনশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় সংসদের শিল্প মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নিবাচিত হন।।

তিনি হযরত শাহ জালালের অন্যতম সফর সঙ্গী হযরত তাজ উদ্দিন কোরেশী (রাঃ) এর ১৬ তম বংশ ধর ছিলেন। তিনি ৬ ছেলে ২ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তার ৮ সন্তানের এর মধ্যে ৭ নম্বর সন্তান গাজী মোঃ জাহেদ ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান । তার ছেলেরা সবাই প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী,শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদ। তাঁর বড় সন্তান শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনে আওয়ামীরীগের দলীয় মনোয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির সাথে আওয়ামীলীগের জোটের কারনে দলীয় প্রদান শেখ হাসিনার নির্দেশে এ আসনটি ছাড় দিতে হয়েছে। বার্ধক্য জনিত কারনে দেওয়ান ফরিদ গাজী ২০১০ সালের ১৯শে নভেম্বর ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন।

http://www.anandalokfoundation.com/