বিশেষ প্রতিবেদকঃ গ্রামগঞ্জের মানুষ যেনো বিএনপি জামায়াতের গুজবের রাজনীতি নিয়ে সচেতন হয়, সে বিষয়ে দলের এই সাংগঠিক কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফরে উত্তরের বিভিন্ন স্টেশনে ১১টিরও বেশি পথসভা করার কথা রয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর)সকাল ৮ টায় কমালপুর রেলস্টেশন থেকে ‘নীলসাগর’ এক্সপ্রেসে করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল উওরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা হয়। দুই দিনের এই সফরে টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল উওরবঙ্গ সফর শুরু করেছে। ঢাকা থেকে উওরাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেন ‘নীলসাগর’ এক্সপ্রেসে করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতা ও গণমাধ্যমকর্মী।
ট্রেন যাত্রা শুরুর আগে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, দলকে আরও সুসংগঠিত করা, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ এবং সরকারের উন্নয়ন প্রচার করাই এ সফরের লক্ষ্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আমাদের নির্বাচনী যাত্রা। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এই ট্রেন যাত্রার মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে নির্বাচনী সফর করবে আওয়ামী লীগ। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর লঞ্চযোগে নির্বাচনী সফর করব আমরা। এরপর সড়ক পথে আমাদের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ যাওয়ার কথা রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সামনের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। প্রস্তুতি সেভাবেই নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকলে তা নিরসন করা হবে। আমাদের এই যাত্রা তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করবে।
ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি নিলফামারী গিয়ে থামবে। যাত্রা পথে ট্রেনটির ৮টি স্টপেজ টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেলস্টেশনগুলোতে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এই রেলযাত্রা কর্মসূচিতে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।