13yercelebration
ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের অপরাধীকে ধরার জন্য ফুটেজ উদ্ধার, চলছে সবরকম

Brinda Chowdhury
January 8, 2020 7:19 am
Link Copied!

দি নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ছাত্রীকে পেছন থেকে অপহরন করে ধর্ষণ করা হয়। তাকে সব রকম নিরাপত্তা দিতে শরব হয়েছে গোটা দেশ।  ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় ধর্ষকের শারীরিক গঠন থেকে অপরাধী শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ধর্ষকের সামনের দুটি দাঁত ছিল না। ইতোমধ্যে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের দুটি সিসি টিভির ফুটেজ উদ্ধার করেছে। ইতোমধ্যে এ মামলাটি তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ দুদিনেও অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি। অন্যদিকে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়েছে।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যে স্থানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, সেই স্থানের আশপাশের কিছু ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। ফুটেজগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে অপরাধীকে শীঘ্রই খুঁজে বের করা হবে। মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এসে ডিসি সুদীপ কুমার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের সব ব্রাঞ্চ প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে মঙ্গলবার মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশও কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি জানান, ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ফলে এককভাবে কেউ তদন্ত করছে না। বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। অপরাধীকে গ্রেফতার করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছি। আশপাশের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজ দেখে বিশ্লেষণ হয়েছে সোমবার। আজও হচ্ছে। ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে অভিযুক্ত ওই শারীরিক গঠনের যুবককে খুঁজে বের করতে কাজ চলছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপসহ গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা মঙ্গলবার দুপুরেও দীর্ঘ সময় ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পুরো এলাকার একটি ম্যাপ তৈরি করেছেন। ওই এলাকা একটি ব্যস্ত সড়ক, সেখানে যথেষ্ট জনসমাগম রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই অনেক কিছু বলা সম্ভব না। পুলিশ অভিযুক্ত গ্রেফতারের মাঠে নেমেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান, ঘটনার পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা।

ওই মামলায় বলা হয়েছে, ধর্ষক যুবকের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। স্বাস্থ্য মাঝারি। ঘটনার সময় তার চুল ছোট ছোট ছিল। স্যান্ডেল পরা এই যুবকের পরনে পুরাতন জিন্সের প্যান্ট ছিল। গায়ে ময়লা কালো রঙের ফুলহাতা জ্যাকেট ছিল। এরই সূত্র ধরে ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ধর্ষকের সামনের দুটি দাঁত ছিল না বলে ভিকটিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন। পুলিশ তদন্তের অংশ হিসেবে কয়েকজন সন্দেহভাজনের ছবি তুলে এনে ভিকটিমকে দেখালে তিনি পুলিশকে এ তথ্য দেন।

http://www.anandalokfoundation.com/